করোনাকালীন সমস্যার পর চাকরি এখন দুর্লভ বস্তু এবং এই পরিস্থিতিতে কোন দিকে যাওয়া অনেক বিপদজনক , আজ আমি বলব কিভাবে ঘরে বসে , অনলাইনে আয়ের শুধু সামান্য কিছু নয় মাসিক একটা ভালো টাকার উৎস চলে আসবে । তো চলুন জানি ,
আজকাল অনেকেই চাকরির জন্য , বিয়ে, বিভিন্ন বিষয়ে সিভি লেখানোর জন্য প্রোফেশনাল সিভি বা রিজুউম রাইটারের শরনাপন্ন হন। আপনি যদি ভালো সিভি বা রিজুউম লিখতে পারেন তাহলে এ কাজটি আপনার জন্য। ঘরে বসেই আপনি ক্লায়েন্টের সিভি বা রিজুউম লিখে দিতে পারেন অথবা ক্লায়েন্টের বিভিন্ন তথ্য নিয়ে সেটিকে আরো নতুন করে অথবা বিভিন্ন টুলস এর সহয়তায় আকর্ষণীয় করে তুলতে পারেন। এছাড়া আপনি ও একটি পুরনো সিভিকে নতুন আঙ্গিকে উপস্থাপন করতে পারেন বর্তমান মার্কেটপ্লেস এ। এতে যেমন আপনার প্রফেশনাল ভাবে নিজেকে গড়ে তুলতে পারবেন টিক তেমনি আপনার ঘরে বসে অনলাইনে ইনকামের একটি সহজ মাধ্যম হবে এটি ।
আপনি কি জানেন একটা সিভি বা রিজুউম কি ?
প্রথমেই সিভি এবং রিজিউমি এই দু’টোর মধ্যে পার্থক্য রয়েছে তা একটু বুঝে নেই। এর মধ্যে পার্থক্য হলো মূলত ফরম্যাটে।
রিজিউমি হলো সংক্ষিপ্ত সংস্করণ এ একজন ব্যক্তির দক্ষতা ও অভীজ্ঞতা সহ অন্যান্য বৃত্তান্ত খবুই ক্ষুদ্র পরিষরে লেখা হয়। যা সাধারণত চাকরীর আবেদনের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। আর সিভি হলো দীর্ঘ সংস্করণ একজন ব্যক্তির জীবন বৃত্তান্ত কিছুটা বিষদভাবে বর্ণনা যা কিনা মূলত অ্যাকাডেমিক বা গবেষণা বা প্রকাশনার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়।
তাই সাধারণত আমাদের দেশে যাকে আমরা সিভি বলে থাকি , প্রকৃতপক্ষে তা হলো রিজিউমি। কিন্তু আজকের এই আলোচনার সুবিধার্থে আমরা রিজিউমিকে সিভি বলব। কেননা সিভি নামেই আমাদের দেশে এটা বেশি পরিচিত।
আপাত দৃষ্টিতে একটি ‘পার্সোনাল মার্কেটিং টুল’ হলো সিভি যা আপনার কর্মদক্ষতা , অভিজ্ঞতা এবং পেশাগত অর্জনের একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরে। একটা সিভির মূল উদ্দেশ্য বা ক্ষমতা হল যাচাই পদ্ধতি (Selection Process) এর প্রথম ধাপ অর্থাৎ স্ক্রিনিং (Screening) পর্যায়টি অতিক্রম করে আপনাকে প্রাথমিক লিখিত পরীক্ষা অথবা সাক্ষাৎকার পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়া। তাই স্ক্রিনিং পর্যায়ের পর সিভির গুরুত্ব খুবই সামান্য। কারণ এই পর্যায়ের পর আপনাকে প্রতিটি ধাপই সরাসরি ভাবে নিয়োগদাতার কাছে আপনার যোগ্যতা প্রমাণ করেই যেতে হবে।
সিভি এবং রিজুউম প্রায় এক জিনিস। যদিও দুটি জিনিস এক ধরনের কাজে বা একই অর্থে ব্যবহার হয়ে থাকে তবুও এই দুটির গঠনগত দিক থেকে কিছুটা ভিন্নতা আছে।তাছাড়া সিভিতে বিভিন্ন বিষয়ে কিছু ব্যাখ্যা বা বর্ণনা দেওয়া হয় কিন্তু রিজুউমে সকল তথ্য খুব সংক্ষেপে লেখা হয়। রিজুউম এ ডিজাইন অনেকটা এ্যাডভান্স লেভেলের হয়ে থাকে । সিভি লেখার ক্ষেত্রে ডিজাইনের চাইতে ইনফরমেশনকে বেশী গুরুত্ব দেওয়া হয়। সাধারণত সিভি ২-৩ পাতার হয় কিন্তু রিজুউম সবসময় এক পাতায় হয়ে থাকে।
তবে আমাদের দেশে অধিকাংশ চাকরির ক্ষেত্রে সিভি (CV) ও রিজুউম একই অর্থে ব্যবহার হয়।