আজকে আমরা কথা বলব অনলাইন বিজনেস নিয়ে । আমরা অনেকেই আসলে ফিজিক্যাল প্রোডাক্ট ডিজিটাল প্রোডাক্ট এগুলা নিয়ে বিজনেস করে থাকি । আমরা আমাদের মত করে বিজনেস প্রচার ও করে থাকি। তো প্রচারেই প্রসার এই বেপারটাতো আমরা সবাই জানি। সাধারণত আমরা আমাদের প্রোডাক্ট এর প্রচারণা লিফলেট , ব্যানার , পোস্টার , ফ্লায়ার এর মাধ্যমে করে থাকি। সেক্ষেত্রে যেটা হয় , অনেক বেশি জায়গায় প্রচার করতে অনেক লোকের দরকার হয় , অনেক বেশি এফোর্ট দিতে হয় এবং অনেক খরচ সাপেক্ষ ব্যাপার।
ফিজিক্যাল মাধ্যমে আমরা যেভাবে অনেক এফোর্ট দিয়ে , খরচ করে প্রচার করে থাকি , অনলাইনে এর থেকে কম সময়ে কম পরিশ্রমে প্রচার চালানো সম্ভব। সব দিক থেকে জিনিষটা কস্ট এফেক্টিভ হয় । এখন আসি টার্গেট অডিয়েন্স কি ? এটা হচ্ছে আমরা আমাদের প্রোডাক্ট কাকে দেখালে সেল হবে সেটা বের করা। ধরেন আমরা একটা চিপসের বিজ্ঞাপন দেখাতে চাই। এটা যদি আমরা একটা কর্পোরেট অফিস এ গিয়ে দেখায় আমরা কিন্তু কোন ফল পাবো না। কিন্তু আমরা যদি এই চিপস এর বিজ্ঞাপন একটা স্কুলে দেখায় তাহলে কিন্তু আমরা ভালো ফল পাবো । আমাদের সেল আসবে । এটাই হচ্ছে মূলত টার্গেট অডিয়েন্সের মূল কনসেপ্ট । এখন কে আমাদের প্রোডাক্ট কিনতে আগ্রহী এটা পারফেক্টলি বুঝে শুনে সেল করতে পারি অনলাইনে ।
তো অনলাইনে প্রচারের অনেক মাধ্যম আছে। এসইও আছে , ফেইসবুক পেজ আছে । ফেসবুকে কি সুবিধা , আমি চাইলে আমার কাস্টমার রেঞ্জ ঠিক করে দিতে পারি । ধরুন যদি আমি একটি শার্ট বিক্রি করতে চাই তবে আমি এই শার্ট কাদেরকে দেখাবো বিজ্ঞাপন হিসেবে তা আমি থি করে দিতে পারবো। আমি যদি একটি ফিমেল প্রোডাক্ট সেল করি , আমি শুধু মেয়েদের এটা সিলেক্ট করে দিতে পারব।
এভাবে অল্প খরচে টার্গেট অডিয়েন্সের কাছে আমার এড পৌঁছে যাবে । এ জন্য কি করতে পারি? প্রথমে একটা নাম ঠিক করতে পারি, ডোমেইন কিনে রাখতে পারি , ফেইসবুক পেজ ডিজাইন কর রাখতে পারি ,মনে রাখা দরকার ওয়েবসাইট হচ্ছে আস্থাভাজন , যেমন ধরেন আপনি এনার্জি বালব কিনতে গেছেন , ভ্যানগাড়িতে যদি দেখেন ৩০০ টাকার এনার্জি বাল্ব ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে আপনি কিন্তু কিনবেন না কারণ ও আজকে এখানে আছে কালকে থাকবে না। যদিও সে গ্যারান্টী দেয় । কিন্তু যার দোকান আছে সে যদি ডাবল দাম রাখে তাও কিনবে । একই কথা ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রেও , ধরেন একজনের ওয়েবসাইট আছে তার মানে ক্লায়েন্ট যখন তা দেখবে সে বুঝবে এখানে সেলালের ইনভেস্ট আছে। তার লংটাইম থাকার পরিকল্পনা আছে। এখন এটার গুরুত্ব কি ? গুরুত্ব হচ্ছে যখন কোন ইমার্জেন্সিতে বাইরের সব কিছু বন্ধ হয়ে যাবে আপনি কিন্তু অনলাইনে আপনার বিজনেস চালাতে পারবেন। রিসেন্টলি করোনার কারণে অনেক দোকান পাট , ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও অনলাইন ব্যবসা কিন্তু চলেছে। অনেক বড় কোম্পানি কিন্তু অনেক সময় রাজত্ব করার পর ধ্বংস হয়ে গেছে । কারণ তারা ট্রেন্ড ফলো করেনি , তাদের পুরোনো বিজনেস পলিসি ফলো করার কারণে তারা আজ ধ্বংস হয়ে গেছে টোটালি । এখন আমরা কথা বলব ফেসবুক বুস্টিং নিয়ে। বুস্টিং হচ্ছে আপনি ফেসবুককে টাকা দিয়ে আপনার পণ্যের বিজ্ঞাপন নির্দিষ্ট মানুষকে দেখাতে পারবেন। বুস্ট আসলে যে কেউ করতে পারবে , আমরা যারা ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কাজ করি তারা আসলে প্রপার রিসার্চ করি যে প্রোডাক্ট কাকে দেখাতে হবে যাতে করে সেল আসে । যাতে করে হয় কি অনেক কম খরচে অনেক বেশি সেল নিয়ে আসা যায় । এবার আসুন ওয়েবসাইট , আমরা যদি লাইটওয়েট ওয়েবসাইট বানাতে পারি , ওয়েবসাইট যদি ইউসার ফ্রেন্ডলি হয় তাহলে ক্লাইন্ট আপনার ওয়েবসাইটে ঢুকে আপনার প্রোডাক্ট দেখবে এবং কিনবে। এখন আসি আমাদের কি ঘাটতি আছে। আমাদের কিন্তু অনেকের সফ্ট স্কিল কম , সফটওয়্যার ওয়েবসাইট এগুলো নিয়ে অনেকেই মাথা ঘামাতে চান না । অনেকেই ভেবে থাকেন আমি কিভাবে আমার প্রোডাক্ট মার্কেটিং এর জন্য বিশ্বস্ত কোন প্রতিষ্ঠানকে দিতে পারি যে সুন্দরভাবে আমার হয়ে আমার অনলাইন বিজনেসটাকে স্টাব্লিশ করে দিবে ।
এটার জন্য আমরা দুভাবে সার্ভিস প্রোভাইডার সিলেক্ট করতে পারি , হতে পারে ফ্রীলান্সার সিলেক্ট করতে পারি অথবা কোন প্রতিষ্ঠানকে দিতে পারি । ফ্রীলান্সারকে দিলে সুবিধা কি ? আমাদের খরচ কম এবং আমরা অল্পতেই আমাদের কাজ করিয়ে নিতে পারি। অন্যদিকে প্রতিষ্ঠানকে দিলে আমাদের খরচ কিছুটা বেশি হতে পারে । তবে আমাদের জন্য যেটা প্লাস পয়েন্ট আমরা আমাদের রেসপনসিবিলিটি আমরা নিশ্চিন্তে দিয়ে আসতে পারি । একজন ব্যাক্তি মারা যেতে পারে , জব না করতে পারে , কিন্তু প্রতিষ্ঠানে ব্যাক্তি না থাকলেও প্রতিষ্ঠান থাকবে । এখন আপনি ঠিক করেন আপনি কবে থেকে শুরু করবেন ? একজন ব্যাক্তি ১০ দিন আগে শুরু করলো আপনি ১০ দিন পরে , ওই লোক কিন্তু আপনার থেকে আজীবন ১০ দিন এগিয়ে থাকবে। মনে রাখা লাগবে কোম্পানিকে জনপ্রিয় পর্যায়ে নিয়ে যেতে আপনাকে অবশ্যই অনলাইন মাধ্যমে যেতে হবে এর কোন বিকল্প নাই ।